ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে রাজনীতি নয়: মন্তব্যে বিতর্কে হাসনাত আবদুল্লাহ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আবারো আলোচনার কেন্দ্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “RAW-এর স্টেশন হেডের সঙ্গে মিটিং করে তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না।”
যদিও পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি—কে বা কারা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW)-এর স্টেশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে তার বক্তব্যকে সমর্থন করলেও, অনেকেই তা ‘উস্কানিমূলক’ এবং ‘প্রমাণহীন অভিযোগ’ হিসেবে দেখছেন।
আগের পোস্টে ‘আওয়ামী লীগ’ নিয়ে হুঁশিয়ারি
এর আগে ১৫ এপ্রিল হাসনাত একটি ফেসবুক পোস্টে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে মন্তব্য করে বলেন, “যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, “যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করছি—অতি শিঘ্রই আওয়ামী লীগ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসুন। না হলে আপনারা করবেন কম্প্রোমাইজের রাজনীতি, আর আমি করব শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না। সাবধান হয়ে যান।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাসনাতের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং বিশেষ করে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে আনার বিষয়টি কূটনৈতিকভাবেও সংবেদনশীল।
একজন বিশ্লেষক বলেন, “যেকোনো রাজনৈতিক নেতা যদি প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম নিয়ে এমন অভিযোগ তোলেন, সেটি স্পষ্ট তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া করা উচিত নয়। এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে।”
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
হাসনাত আবদুল্লাহর এসব মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে। অনেকেই এখন অপেক্ষায় আছেন—তিনি আরও কোনো ব্যাখ্যা বা তথ্য সামনে আনেন কি না।
সামনের দিনগুলোতে এনসিপির অবস্থান এবং রাজনৈতিক বক্তব্য কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ জনগণ উভয়েই।