ব্রাসেলস মিটিং ইস্যুতে গুজবের জবাব দিলেন ব্যারিস্টার মো: আবু বকর মোল্লা

সম্প্রতি কিছু সাংবাদিক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও দ্বীনি ভাইয়ের পক্ষ থেকে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি মিটিং ঘিরে নানা প্রশ্ন ও গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মো: আবু বকর মোল্লা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি জানান, সময়ের স্বল্পতার কারণে সব অভিযোগের পৃথকভাবে জবাব দেওয়া সম্ভব না হলেও, যারা জানার জন্য অনুরোধ করেছেন, তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করা হয়েছে। তিনি আহ্বান জানান, শহীদি কাফেলার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি সকলের আস্থা রাখা উচিত — যদি না সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ সামনে আসে।

প্রথম অভিযোগের জবাব
প্রথমত, ইউরোপের কোনো মিটিং বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চাপে আমীরে জামায়াতের অবস্থান পরিবর্তন করেননি।
বক্তব্যে বলা হয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতে জামায়াতের মিশন-ভিশন ও মৌলিক নীতিমালার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি এবং কোনো সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় পক্ষের প্রভাবে আসেনি।
আমীরে জামায়াত যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সংগঠনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেরই প্রকাশ, যা মিটিংয়ের বহু আগে নির্ধারিত ছিল এবং সেই ভিত্তিতেই ইউরোপিয়ান পক্ষকে একটি লিখিত ব্রোশিওরও সরবরাহ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় অভিযোগের জবাব
দ্বিতীয়ত, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তাহের ভাইয়ের নেতৃত্বে গোপন মিটিং করার অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেন, “যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের উচিত নির্দিষ্ট প্রমাণ — অডিও বা ভিডিও রেকর্ড — প্রকাশ করা।”
তিনি স্পষ্ট করেন, ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ের সময় তাহের ভাইসহ সকল সদস্য আমীরে জামায়াতের রুমে নামাজ আদায় ও একত্রে খাওয়া-দাওয়া করেছেন এবং নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে কারো কোনো পৃথক সাক্ষাৎ বা গোপন মিটিংয়ের সুযোগই ছিল না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “তাহের ভাই বেলজিয়ামে কোনো কুমিল্লাবাসীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেননি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দেখানো তাদের দায়িত্ব, অমূলক প্রশ্নের জবাব দিতে আমাদের বাধ্য করার প্রয়োজন নেই।”
দ্বীনি ভাইদের প্রতি বার্তা
সকল দ্বীনি ভাই ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ব্যারিস্টার মো: আবু বকর মোল্লা বলেন, “কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই ছাড়া কোনো তথ্য বিশ্বাস করা উচিত নয়, কেননা তা গুনাহের কারণ হতে পারে।”
তুরস্কে বই প্রকাশ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
তিনি জানান, তুরস্কের আঙ্কারায় ৫৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতদের এক সম্মেলনে জামায়াত সম্পর্কে একটি বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত সংগঠনের পরামর্শক্রমেই নেওয়া হয়েছিল। এসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বই বিতরণ ও তার বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।
তিনি আরো স্মরণ করিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক আইনি সহায়তায় টবি ক্যাডম্যানের মতো ব্যক্তিরা জামায়াতের হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, এবং নিয়োগের সময় তাদের ব্যক্তিগত ঈমান নয়, তাদের পেশাদার যোগ্যতাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।