ড. মুহাম্মদ ইউনূস: আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা ও অংশগ্রহণমূলক। তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা একটি উদাহরণ তৈরি করতে চাই, একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক, যা দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম হবে। এটি হবে একটি উদাহরণ, একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ।” তিনি উল্লেখ করেন, “নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ চলছে এবং শিগগিরই এটি সম্পন্ন হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তারা নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করবে।”
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা বাড়াতে তাদের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরে। তারা স্বাধীন ও নাগরিক-চালিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে এবং স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে, যা বাংলাদেশে সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনী স্বচ্ছতা বাড়ানোর সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে সহায়ক হবে।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে জনগণের অধিকার রক্ষা পাবে এবং স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সুযোগ থাকবে না।” তিনি আরও বলেন, “সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচার ব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।”
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “জুলাই সনদ জাতির সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন। এটি আমাদের নৈতিক অঙ্গীকার। আমরা বিশ্বাস করি, এই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই রাষ্ট্রকে একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক পথে পরিচালিত করা সম্ভব।”
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই নির্বাচন হবে একটি মাইলফলক, যা দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে আরও সুদৃঢ় করবে।
