নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করল জামায়াতের মহিলা বিভাগ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশকৃত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগ। বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকা এই প্রতিবেদনকে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন।
নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, “দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নারীর বিশ্বাস ও জীবনধারার সাথে সাংঘর্ষিক প্রস্তাবনা এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এটি কেবল ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করেনি, বরং কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ঘটিয়েছে।”
বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবেদনে যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের সুপারিশ রয়েছে, যা মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পারিবারিক বিধান ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করেছে।
তিনি আরও বলেন, “ইসলাম ন্যায়ভিত্তিক অধিকার নিশ্চিত করে, সমঅধিকারের নামে ধর্মীয় বিধান পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। কমিশনের প্রস্তাব দেশের প্রায় ৯ কোটি নারীর বিশ্বাস ও আবেগকে অগ্রাহ্য করেছে।”
জামায়াতের মহিলা বিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কমিশনে যাদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা সমাজের সব শ্রেণির নারী প্রতিনিধিত্ব করেন না। বিশেষ করে ইসলামী জ্ঞানে পারদর্শী নারী সদস্যের অনুপস্থিতি এই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

সংগঠনটি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পুনঃবিবেচনা ও পুনর্লিখনের আহ্বান জানিয়েছে। সেই সাথে তারা এমন নারীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে যারা ইসলামের পূর্ণ জ্ঞান রাখেন এবং সমাজের বৃহৎ অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন।